গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী এ তথ্য জানিয়েছেন।
বহিষ্কার হওয়া দুজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মহিউদ্দীন রানা ও ফলিত রসায়ন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আবদুল্লাহ মামুন। রানা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিষ্কৃত সহসম্পাদক ও মামুন সংগঠনটির বহিষ্কৃত কর্মী। একই ঘটনায় তাঁদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষার আগের রাতে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে রানা ও মামুনকে আটক করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে আটক করা দুই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে সিন্ডিকেট সভায় এই বহিষ্কারের নির্দিষ্ট কোনো সীমা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রক্টর জানান, গত ২০ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আরো ১২ শিক্ষার্থীকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ওই চক্রে আরো কারা জড়িত, তা বের করতে ঢাবি শিক্ষার্থী রানা, মামুন ও ভর্তিচ্ছু রাফিকে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ (অর্গানাইজড ক্রাইম) তদন্ত দলের সদস্যরা জানান, রানা ও মামুন এই জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা।
টপারবিডি-বাংলা ৭৭ম